হাসান নওয়াজের ফিফটিতে দুইশ পেরোনো সংগ্রহ পেয়েছিল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। লক্ষ্য তাড়ায় মোহাম্মদ নাঈম ও আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল লাহোর কালান্দার্স। কিন্তু মাঝের ওভারে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। কিন্তু হাল ছাড়েননি কুশল পেরেরা ও সিকান্দার রাজা। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ হাসি হেসেছে লাহোরই।
রোববার (২৫ মে) গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরের ফাইনালে কোয়াটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স। কোয়েটার দেয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ১ বল বাকি থাকতেই জয়লাভ করে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বে সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেনদের দল।
এদিন লাহোরের হয়ে ৪২ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। শাহীন শাহ আফ্রিদি নেন ৩ উইকেট এবং সালমান মির্জা ও হারিজ রউফ ২ উইকেট করে নেন। সিকান্দার রাজা নেন ১ উইকেট।
এদিকে ওপেনিং জুটিতে ৩৯ রান সংগ্রহ করে লাহোর। ১০ বলে ১১ রান তোলেন ফখর জামান। তারপর জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ নাঈম ও আব্দুল্লাহ শফিক। নাঈম ২৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ও শফিক ২৮ বলে ৪১ রান সংগ্রহ করেন।
শেষ দিকে অবশ্য কিছুটা হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল। ম্যাচ যেন প্রায় ফসকে যাওয়ার মতো হয়েছিল লাহোরের। তবে ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই বাউন্ডারিতে ১০ রান সংগ্রহ করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। আর আরেক প্রান্তে ঝড় তোলেন কুশল পেরেরা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। শেষের আগের ওভারে সংগ্রহ করেন ১৮ রান।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন রাজা। প্রথম বলেই ওয়াইড। দ্বিতীয় বলে ১ রান সংগ্রহ করেন। স্ট্রাইকে ফেরেন পেরেরা। তারপর ২ বলে ৩ রান আসে। আবারও স্ট্রাইকে রাজা। এবার ৩ বলে ৮ রান দরকার। দুর্দান্ত এক ছক্কা হাঁকান। এর পরের বলে চার মেরে ১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন সিকান্দার।
এ জয় দিয়েই পিএসএলের ৪ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো জয় পেল লাহোর কালান্দার্স। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালের আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাহোরের দলটি।
খুলনা গেজেট/এমএম